শোকাহত পুরো দেশ প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা।
জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (১৬ই নভেম্বর) পৃথক শোকবার্তায় তারা এ সমবেদনা জানান। শোকবার্তায়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, মরহুম শওকত আলী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আজীবন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করে গেছেন। তিনি একজন সামরিক অফিসার হওয়া সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, তা অতুলনীয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ একজন বরেণ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা এবং সমাজসেবক হারাল। তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
আরেক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে শওকত আলীর অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। দেশ এক প্রবীণ জননেতাকে হারাল, আমি হারালাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন বিশ্বস্ত সহকর্মীকে।
এ ছাড়া তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম।
এর আগে সোমবার (১৬ই নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কর্নেল (অব.) শওকত আলী।
গত ২৯শে অক্টোবর কিডনি, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে (সিএমএইচ) ভর্তি হন। বেশ কয়েক দিন ধরে তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল শওকত আলী শরীয়তপুর-২ আসন থেকে ৫ পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই ছেলে ও এক কন্যার জনক।
পাকিস্তান আমলে ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়েছিল, তাতে শওকত আলীকেও আসামি করা হয়। তিনি মুক্তিসংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ৭১ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা।